বিয়েটা-তে মারুফ আর শম্পা’র বিয়ের গল্প

আমি শম্পা, সব সময়েই খুব চঞ্চল আর হাসি খুশি থাকতে পছন্দ করি। খুব মজা আর হই হুল্লোড় করেই কাঁটিয়ে দেই  আমার প্রতিটা সময়। ‘’বিয়েটা ডট কম” সাইটের কথা জানতে পেরে আমি মজার ছলেই প্রোফাইল ওপেন করে ফেলি। প্রোফাইল ওপেন করার উদ্দেশ্য ছিলো  আসলে এটা কতটা সত্যি। এর মধ্যেই কিছু পাত্রদের রিকোয়েস্ট আসাও শুরু করলো আমার প্রোফাইলে। বিয়েটার হেল্পলাইন থেকে একজন প্রতিনিধি কল করে জানালো যে, আমার সাথে অনেক পাত্রই যোগাযোগ করতে আগ্রহি। কিন্তু আমি তো শুধু মাত্র সাইটটা দেখার জন্যই প্রোফাইল ওপেন করেছিলাম। ঠিক আছে আমি দেখছি পাত্রদের লিস্ট এটা বলে আমি ওই প্রতিনিধির সাথে কথা শেষ করলাম।

পাত্রদের লিস্ট দেখতে যেয়ে মারুফ নামে এক প্রোফাইলে আমার চোখ আটকে গেলো। খুব হ্যান্ডসাম লাগছে দেখতে ছেলেটাকে। সাথে আবার চশমাও পড়েছে সে। চশমা দেওয়া ছেলে দেখলে এমনিতেই আমার খুব ভালো লাগে। ছোট বোনকে ডেকে নিয়ে বললাম, দেখতো ছেলেটা কেমন? ছোট বোন দেখে তো পছন্দ করে ফেলল। আপু তোর সাথে খুব মানাবে। যোগাযোগ করে ফেললাম মারুফের সাথে।মারুফ খুব গম্ভীর আর চুপচাপ টাইপের ছেলে। আমি তাকে নক দিয়ে অনেক কথা জিজ্ঞাসা করলাম কিন্তু মারুফ শুধু উত্তর দিচ্ছে, পাল্টা কোনো প্রশ্ন করছে না।

আমি তো অবাক, আরে ছেলেটা এমন কেনো? এদিকে আমার কথা বলা, আর চঞ্চলতা মারুফকে আকর্ষণ করে, সেটা অবশ্য মারুফের থেকেই জানতে পেরেছিলাম। মারুফ আমাকে সরাসরি বিয়ের জন্য প্রপোজাল দেয়। শম্পা খুব অবাক হলেও খুব খুশিও হয়ে যায়। সে তার পরিবারকে সব জানায়। কিন্তু দুই পরিবারের কেউই তেমন আগ্রহ দেখালো না। আমাদের দুই জনেরই খুব কষ্ট হয়েছিল পরিবারকে বুঝাতে। তবে আল্লাহ্‌র কাছে শুকরিয়া জানাই, অনেক বুঝানোর পরে দুই পরিবার আমাদের পছন্দ মেনে নিলেন।  এর পর দুই পরিবারের সম্মতিতে আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এখন আল্লাহ্‌র রহমতে আমি প্রেগন্যান্ট। আমি su’র সকলকে ধন্যবাদ জানাই, কেননা এই সাইটটার মাধ্যমেই আমি আমার মনের মানুষকে খুঁজে নিতে পেরেছি। আমি আমার স্বামী আর পরিবার নিয়ে এখন খুব সুখী।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।